সবং: উৎসবের আমেজে মেতে উঠেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং। শারদোৎসবের আগমনী হাওয়ায় শনিবার সন্ধ্যায় পল্লীশ্রী ক্লাবের দুর্গাপুজোর শুভ উদ্বোধন করলেন জেলা পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার। ফিতে কেটে আনুষ্ঠানিকভাবে পুজোর সূচনা করে তিনি জানান, “এই ধরনের পুজো শুধুমাত্র ধর্মীয় আচার নয়, এটি মানুষের মিলনক্ষেত্র, সমাজের একতা ও ঐক্যের প্রতীক।”
এই দিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব, ক্লাবের সদস্য এবং অসংখ্য দর্শনার্থী। শুরু থেকেই উৎসাহ ও উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো।
এবার পল্লীশ্রী ক্লাবের পুজোকে ঘিরে আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে তাদের অনবদ্য থিম। নেপালের বিখ্যাত জনকি মন্দিরের আদলে সাজানো হয়েছে প্যান্ডেলটি। সোনালি রঙের ঝলক, সূক্ষ্ম নকশার কারুকাজ এবং চমকপ্রদ আলোকসজ্জায় যেন জীবন্ত হয়ে উঠেছে বিদেশের ঐতিহ্য। প্যান্ডেলে প্রবেশ করলেই ভক্তদের মনে হবে, তাঁরা যেন সত্যিই অন্য এক দেশের ঐতিহাসিক মন্দিরে উপস্থিত হয়েছেন।
ক্লাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শুধুই থিম নয়, সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতাও এবারের পুজোয় বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে। স্থানীয় দুঃস্থদের সহায়তা, পরিবেশ সচেতনতার প্রচার এবং বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে তৈরি হয়েছে আলাদা রুটম্যাপ ও নিরাপত্তা বেষ্টনী।
সবংবাসীর কাছে পল্লীশ্রী ক্লাবের পুজো প্রতি বছরই বিশেষ কিছু। তবে এবারের জনকি মন্দির থিম যেন নতুন মাত্রা যোগ করেছে। স্থানীয়দের মতে, “প্রতিবছরই পল্লীশ্রী কিছু না কিছু অভিনব করে। কিন্তু এবারের থিম যেন একেবারে অন্য জগতে নিয়ে যায়।”
শারদোৎসবের এই সময়ে সবংয়ের পল্লীশ্রী ক্লাবের পুজো শুধু ধর্মীয় আচার নয়, এটি হয়ে উঠেছে শিল্প, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও সমাজসেবার এক অনন্য মঞ্চ। জনকি মন্দিরের জাঁকজমক আর পল্লীশ্রীর উদ্যোগে এবারের পুজো ইতিমধ্যেই জেলার অন্যতম আকর্ষণ হয়ে উঠেছে।