সবং: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থায় এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হল পঞ্চমীর সন্ধ্যায়। জেলার সবং ব্লকের তেমাথানিতে উদ্বোধন হল জেলার প্রথম শীততাপ নিয়ন্ত্রিত যাত্রী প্রতীক্ষালয়ের। প্রায় ১ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি এই আধুনিক প্রতীক্ষালয়ের ফিতা কেটে শুভ সূচনা করলেন রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভূঁইয়া।
দীর্ঘদিন ধরেই স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি ছিল, সবং অঞ্চলে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন একটি যাত্রী প্রতীক্ষালয় হোক। যাত্রীদের জন্য আরামদায়ক ও নিরাপদ পরিবেশের প্রয়োজনীয়তার কথা বারবার উঠে এসেছিল। অবশেষে পঞ্চমীর উৎসবমুখর সন্ধ্যায় সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ পেল।
উদ্বোধনী মঞ্চ থেকে মন্ত্রী মানস ভূঁইয়া বলেন, “ইতিমধ্যেই তেমাথানিকে কেন্দ্র করে সৌন্দর্যায়নের কাজ শুরু হয়েছে। আগামী দিনে তেমাথানি হয়ে উঠবে সবংয়ের রাজধানী। এই প্রতীক্ষালয় শুধুই একটি ভবন নয়, এটি উন্নয়নের এক প্রতীক।”
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা শাসক, খড়গপুরের এসডিও, জেলার স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ আবু কালাম বক্স, প্রাক্তন বিধায়িকা গীতা রানী ভূঁইয়া সহ একাধিক প্রশাসনিক আধিকারিক। তাঁদের উপস্থিতিতে জমজমাট হয়ে ওঠে পঞ্চমীর সন্ধ্যা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এই প্রতীক্ষালয় চালু হওয়ায় দূরদূরান্ত থেকে আসা যাত্রীদের এখন থেকে আর ভোগান্তি পোহাতে হবে না। গরমে কিংবা বৃষ্টিতে রাস্তায় অপেক্ষা না করে তারা শীততাপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে আরাম করে বসে থাকতে পারবেন। পাশাপাশি, তেমাথানির মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগস্থলে এই ধরনের প্রতীক্ষালয় গড়ে ওঠায় এলাকার পরিবহন ও বাণিজ্যিক ব্যবস্থাও আরও চাঙ্গা হবে বলে আশা করছেন অনেকে।
এই প্রতীক্ষালয়ের উদ্বোধনের মাধ্যমে শুধু যাত্রীদেরই নয়, পুরো সবং ব্লকের উন্নয়নের রূপরেখায় এক নতুন অধ্যায় যুক্ত হল। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে, আগামী দিনে এ ধরনের আধুনিক প্রতীক্ষালয় অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
শারদোৎসবের মুখে এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে সবংবাসীর জন্য এক বড় উপহার। উন্নয়ন যে শুধু শহরেই সীমাবদ্ধ নয়, গ্রামের প্রান্তিক এলাকাতেও পৌঁছে যাচ্ছে — তেমাথানির এই শীততাপ নিয়ন্ত্রিত প্রতীক্ষালয় তারই জ্বলন্ত প্রমাণ।