পুজোর ছুটি: কলকাতায় দুর্যোগের জেরে পুজোর আগে রাজ্যের স্কুল-কলেজে অপ্রত্যাশিত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। রাজ্যের সমস্ত সরকারি, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত এবং সরকারি পোষিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ২৪ ও ২৫ সেপ্টেম্বর (বুধবার ও বৃহস্পতিবার) বন্ধ থাকবে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু মঙ্গলবার দুপুরে এই তথ্য সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছেন। শিক্ষার্থীদের স্বস্তি দেওয়া এবং দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা করার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মূলত ২৬ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) থেকে পুজোর ছুটি শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মঙ্গলবারের দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে অনেক স্কুলে পঠনপাঠন আগেই বন্ধ হয়ে যায়, ফলে তিন দিন আগেই ছুটি কার্যকর হলো।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার বেলায় ‘নিউজ়১৮ বাংলা’-কে বলেন, “আমি সরকারকে এখনই একটি বিজ্ঞপ্তি দিতে বলছি। স্কুল-কলেজের ছুটি আজ থেকে পড়বে। স্কুলের বাচ্চাদের এখন আর আসতে হবে না। আশা করি শিক্ষামন্ত্রী আমার কথা শুনতে পাচ্ছেন।” এছাড়াও তিনি সিবিএসই এবং আইসিএসই বোর্ডের স্কুলগুলিকেও অন্তত দু’দিন ছুটি দেওয়ার অনুরোধ করেছেন।
এক অভূতপূর্ব দুর্যোগের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে রাজ্যে। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর উপদেশে এই দুর্যোগে ছাত্রছাত্রীদের স্বস্তি দিতে এবং দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা করতে আগামী কাল এবং পরশু, অর্থাৎ ২৪ এবং ২৫ সেপ্টেম্বর রাজ্যের সমস্ত বিদ্যালয় ও উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত…
— Bratya Basu (@basu_bratya) September 23, 2025
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশনার পর শিক্ষা দফতরের তরফে এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। শিক্ষাসচিবের প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ভারী বৃষ্টিপাত এবং আগামী দু’দিন দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার পূর্বাভাসের কারণে রাজ্যের সব সরকারি, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত এবং পোষিত স্কুল ও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। তবে পাহাড়ি এলাকার স্কুলগুলোকে এই ছুটির আওতা থেকে বাদ রাখা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য সমাজমাধ্যমে জানিয়েছেন, “২৬ সেপ্টেম্বর থেকে যে হেতু সরকারি ভাবে পুজোর ছুটি পড়ছে, তাই কার্যত কাল থেকেই দুর্গাপুজোর ছুটি শুরু হয়ে যাচ্ছে।” শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী অনুরোধ করেছেন, “তাঁরা বাড়ি থেকেই যেন নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজকর্মগুলি সম্পন্ন করেন।”
রাজ্যের এই পদক্ষেপ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি পরিবারগুলোকে দুর্গাপুজোর সময় নিরাপদ পরিবেশে প্রস্তুত থাকতে সহায়ক হবে। প্রশাসনের মতে, এই অগ্রিম ছুটি দুর্গাপুজোর সময় যেকোনো দুর্ঘটনা বা ঝুঁকি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।