অমিত খিলাড়ি, ডেবরা— পশ্চিম মেদিনীপুরে কি উন্নয়নের বন্যা বইছে শুধুমাত্র সবং আর পিংলাতে? ডেবরায় কেনো নয়? এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ এবার সামনে আনলেন তৃণমূলেরই এক অঞ্চল সভাপতি!
ঘটনা ডেবরা ব্লকের ৩ নম্বর সত্যপুর অঞ্চলে, প্রসঙ্গত তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি চন্দন বেরা প্রকাশ্যে এমনি প্রশ্ন তুলেছেন নিজের দলের দিকেই। এই নিয়ে তিনি সোস্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে স্পষ্ট লিখেছেন— “আজ এক বছর যাবৎ দেখছি, টেন্ডার চেক করলেই, শুধু সবং আর সবং, আর পিংলা আর পিংলা,, আমার ডেবরা ব্লকে কাজ নেই, আমার জেলা পরিষদ এর মেম্বার রা কি করছেন, তা নিয়ে আমি খুব চিন্তার মধ্যেই আছি, আর সত্যপুর অঞ্চল অঞ্চল থেকে যাকে ৫,০০০ ভোটে লিড দিয়ে, শান্তি দিদিমনি কে জেলার আসনে বসালাম, উনাকে সরজ্ঞা ICDS এর মাত্র দশ বারো লাখ টাকার রাস্তাটি করার কথা বলতে, উনি বললেন টাকা নেই, টাকা যে কোথায় জানিনা বাবা, কাজ হবে না,,,,, শুধুই ভোট চাই,,, তোমাদের শুধুই ভোট দাও,,,,” এবং তিনি ওই এলাকা থেকে নির্বাচিত তৃণমূলের জেলা পরিষদের মেম্বার তথা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের শিশু ও নারী কর্মাধ্যক্ষ শান্তি টুডুর বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছেন।
এই পোস্টকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জেলা রাজনীতিতে, তৃণমূলের অন্দরের ক্ষোভ এবার যেন ফুঁসে উঠছে সোস্যাল মিডিয়াতেই। উল্লেখ্য, সবং রাজ্যের মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভূঁইয়া-র গড় হিসেবে পরিচিত, আর পিংলা অজিত মাইতি-র এলাকা, যিনি বর্তমানে পিংলার বিধায়ক এবং ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি।
ওপরদিকে রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, এই মন্তব্য প্রমাণ করে দিচ্ছে যে— উন্নয়নের নামে প্রকৃতপক্ষে পক্ষপাতদুষ্ট রাজনীতি হচ্ছে। জেলা পরিষদ থেকে শুরু করে ব্লক স্তরের নেতাদের অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেসে ভেতরের ক্ষোভ ধামাচাপা দেওয়া যাচ্ছে না আর।
আবার অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, জেলা পরিষদের বরাদ্দ কি সব ব্লকে সমানভাবে পৌঁছচ্ছে? নাকি শুধু প্রভাবশালী নেতাদের এলাকাতেই নজর পড়ছে প্রশাসনের? সোস্যাল মিডিয়ায় এই পোস্ট ঘিরে জেলাজুড়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চর্চা। অবশ্য চন্দন বেরা নিজে এখনও তাঁর এই পোস্টের পরিপ্রেক্ষিতে কোনও সংবাদমাধ্যমকে প্রতিক্রিয়া দেননি।