নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রাম: সুবর্ণরেখার নদী পাড় ভাঙনের জেরে প্রায় ১২০০ মিটার এলাকাজুড়ে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছে গ্রামবাসীরা। ইতিমধ্যেই নদীর জলে তলিয়ে গিয়েছে গ্রামের একমাত্র খেলার মাঠ, একটি পাকাকলাব ঘর, আমবাগান এবং বিদ্যুতের খুঁটি। আতঙ্কে দিন গুনছেন অন্তত ২৫০টি পরিবার। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতি বছর প্রশাসন আশ্বাস দিলেও বাস্তবে কোনরকম কাজ হয়নি।
ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুর-২ নম্বর ব্লকের এই মালিঞ্চা গ্রাম যেন এখন এক বিপর্যস্ত জনপদ। নদীর পাড় ধসে পড়ে একের পর এক বাড়ি চলে আসছে সুবর্ণরেখার কবলে। স্থানীয়দের কথায়, ইতিমধ্যেই প্রায় ২০টিরও বেশি বাড়ি রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে। একটু বৃষ্টি বাড়লেই যে কোন সময় নদীতে তলিয়ে যেতে পারে।
সুবর্ণরেখা ক্রমাগত গ্রামগাভী হয়ে উঠছে। বড়সড় বিপর্যয়ের আশঙ্কায় দিন গুনছে গোটা মালিঞ্চা। রাজ্যের সেচ মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভূঁইয়া কিছুদিন আগেই এই এলাকায় পরিদর্শনে এসে দ্রুত পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছিলেন। তবে গ্রামবাসীদের অভিযোগ, সে আশ্বাসও কাগজেই থেকে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত পাড় বাঁধার কাজ শুরু হয়নি।
আরও এক বিপদের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে জল বাড়ার কারণে। ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশা থেকে ছাড়া জল এবং নিম্নচাপের কারণে লাগাতার বৃষ্টির ফলে সুবর্ণরেখা নদীতে হু হু করে জল বেড়ে চলেছে। রাজ্য সরকারের অনুমতি ছাড়াই ডিভিসি থেকে জল ছাড়ার কারণে সমস্যা আরও জটিল হচ্ছে।
এই অবস্থায়, নদীর তীর রক্ষা করতে দ্রুত স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের স্পষ্ট বক্তব্য, “আর দেরি হলে গ্রামটাই থাকবে না।”